দক্ষিণ দিনাজপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর থেকে বিজেপিকে প্রতিরোধ করার হুঙ্কার পূর্ণেন্দু বসু-র। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জীবিত থাকাকালীন এসআইআর এখানে চালু হবে না, দাবী পূর্ণেন্দু বসু-র। বৃহস্পতিবার গঙ্গারামপুর শহরের রবীন্দ্র ভবনে ছিল কিষাণ ক্ষেতমজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সভা। এদিনের এই কর্মী সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা রাজ্য কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু। এদিনের কর্মী সভায় তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষক সংগঠনের বর্ষীয়ান নেতা পূর্ণেন্দু বসু শুরু থেকেই ছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক। একাধারে এসআইআর নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ তো অন্যদিকে আবার বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার-কে আক্রমণ করেন তিনি। এসআইআর নিয়ে সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করে পূর্ণেন্দু বসু বলেন ভয় পাবেন না, আতঙ্কগ্রস্ত হবেন না। উনার বক্তব্য দিল্লী থেকে লোক এসে এসআইআর করবে না। তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন বিজেপির লোকেদের আমরা রাস্তাতেই আটকে দেব, তারা পারবে না জোর করে মানুষের অধিকার ছিনিয়ে নিতে। সেই সঙ্গে এদিন তিনি বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করে দাবী করেন বালুরঘাটের সাংসদ বিভাজনের রাজনীতি করছেন। পাশাপাশি এদিনের কর্মী সভা থেকে পূর্ণেন্দু বসু দলীয় কর্মীদের কৃষকদের কাছে যাওয়ার - কৃষকদের কথা শোনার - কৃষকদের মন বুঝবার নির্দেশ দেন। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় বিজেপির জয়লাভ করা বিধানসভা সিটের সংখ্যা যাতে কম হয় তার জন্য দলীয় কর্মীদের কাছে আহ্বান রাখেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের কৃষক সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় সংখ্যালঘু যুবক সাহেনশা মোল্লা-কে সংগঠনের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দেয় ঘাসফুল শিবির। যার পরেই কার্যত আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কার্যত পাখির চোখ করে সাহেনশা মোল্লা-র নেতৃত্বে গ্রামীণ এলাকার কৃষকদের সাথে যোগাযোগ বৃদ্ধিতে ময়দানে কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেস। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের শক্তি বৃদ্ধির সুর এদিন শোনা গিয়েছে খোদ কিষাণ ক্ষেত মজদুর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি পূর্ণেন্দু বসু-র গলাতেও। পুর্ণেন্দু বসু বলেন আস্তে আস্তে সংগঠন শক্তিশালী হচ্ছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে সারের কালোবাজারি নিয়ে জেলার কৃষকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। কৃষকরা রাস্তায় নেমেও প্রতিবাদ জানিয়েছে কালোবাজারি বন্ধের দাবী জানিয়ে। সেক্ষেত্রে রাজ্যের শাসক দলের কৃষক সংগঠন যদি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকদের সমস্যার কথা রাজ্য সরকার অবধি পৌছে দিতে পারে তবে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তার এডভান্টেজ পেতে পারে।
Total Post View : 26517