সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: কার দখলে থাকবে বড়মার ঘর? তা নিয়ে উত্তেজনা চরমে উঠেছিল ঠাকুরনগরে। রবিবার সন্ধ্যায় থেকেই বিষয়টি নিয়ে তুমুল শোরগোল শুরু হয়েছিল মমতাবালা ঠাকুর ও শান্তনু ঠাকুরের মধ্যে। যাতে জড়িয়ে পড়েছিলেন দু-পক্ষের অনুগামী ও ভক্তরাও। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছছিল যে ঘরের দখল কার হাতে থাকবে তা ঠিক করতে নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে প্রশাসনও। স্থানীয়দের পাশাপাশি বাইরের প্রচুর মানুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে বলে অভিযোগ। সোমবার দুপুরে পুলিশের হস্তক্ষেপে বড়মার ঘরে থাকা নথি হাতে পান মমতাবালা ঠাকুর। আর নথি ফেরতের পরেই মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত মতুয়া ঠাকুরবাড়িতে ছড়াল চরম উত্তেজনা। স্লোগান পাল্টা স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠল চারিদিক। জয় শ্রী রাম স্লোগানও উঠতে শোনা গেল তার মাঝে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় শান্তনু ঠাকুর ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর-সহ ১৪ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে। তাতে মমতাবালা ঠাকুর বড়মা বীণাপাণি দেবীর ঘর দখলের অভিযোগ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। রবিবার সন্ধ্যায় বড়মার ঘরের গেটের তালা ভেঙে সেটি দখল করার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে। পরে এই বিষয়ে ঠাকুরনগর থানায় শান্তনু ঠাকুর ও মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর-সহ ১৪ জনের নামে এফআইআর করে মমতাবালা ঠাকুর। তারপরই বিষয়টি নিয়ে উত্তপ্ত থাকে ঠাকুরবাড়ির পরিবেশ-সহ ঠাকুরনগর এলাকা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেন, বড়মাকে ভুল বুঝিয়ে ওই ঘরের নথি নিজের নামে করিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঠাকুরবাড়ির সম্পত্তি এভাবে নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়া যায় না। আমিও বিষয়টি নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হব। সোমবার পুলিশের মাধ্যমে নথি ফেরতের পর মমতাবালা ঠাকুর অভিযোগ করেন, মিথ্যে অভিযোগ তুলে ভোটের সময় অযথা উত্তেজনা তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের কাছে বড়মার ঘর হল অত্যন্ত পবিত্র জায়গা। সেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বুট পরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে। এর বড়মা ও ঠাকুরবাড়ির পবিত্রতা নষ্ট করা হয়েছে।
Total Post View : 15438