সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে এনআইএ নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তৃণমূলকে নিশানা করে মোদী বললেন, দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে। মোদী আরও বলেন, এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার। সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে ভূপতিনগরে সম্প্রতি এনআইএর 'আক্রান্ত' হওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ সালের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে শনিবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। শনিবারই ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তবে সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। তার মধ্যেই শনিবার রাতে ভূপতিনগর থানায় এনআইএ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেছে ধৃত এক তৃণমূল নেতার পরিবার। এফআইআর দায়ের করে সেই ঘটনার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে। তৃণমূলের দাবি, ভোটের মুখে এনআইএর তদন্ত হচ্ছে বিজেপির নির্দেশে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ সাংবাদিক বৈঠকে দাবি করেন ওই গত ২৬ মার্চ বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এনআইএর এসপি ধনরাম সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তৃণমূল নেতাদের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ নিয়ে তদন্তের দাবি করেছে তারা। পাল্টা বিজেপির জিতেন্দ্রমানহানি মামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। মোদী বলেন, এই ভোটে তৃণমূলকে সবক শেখানো খুব জরুরি। এক একটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে। তাঁর সংযোজন, তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের উপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল।
Total Post View : 22616