সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: বহস্পতিবার রাজ্য বাজেটে অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ঘোষণা করেছেন, লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ভাতা বর্তমানের ৫০০ টাকা থেকে দ্বিগুণ করে ১০০০ টাকা হবে। তফসিলি জাতি ও জনজাতি মহিলাদের জন্য এই প্রকল্প খাতে ভাসা ১ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হবে ১২০০ টাকা। এপ্রিল মাস থেকে তা কার্যকর হবে। মে মাসের গোড়া থেকে তা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে। মে মাসে গোড়া মানে লোকসভা ভোট তখন মধ্যগগণে। জাতীয় নির্বাচন কমিশনের যা পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে এপ্রিল মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে। সাত বা আট দফায় ভোট গ্রহণ শেষ হবে মে মাসের দ্বিতীয় বা ত়ৃতীয় সপ্তাহে। অর্থাৎ লোকসভা ভোটের মধ্যে একে তো লক্ষ্ণীর ভাণ্ডার নিয়ে প্রচার চালাবে তৃণমূল। তার উপর মে মাসের গোড়ায় যখন বাংলার ২ কোটি মহিলার অ্যাকাউন্টে যখন টাকা ঢুকবে তখনও অন্তত তিন থেকে চার দফার ভোট গ্রহণ বাকি থাকবে। ২ কোটি মহিলার অর্থ প্রায় ২ কোটি পরিবার। অর্থাৎ সরাসরি বেনিফিসিয়ারি প্রায় ৮ কোটি মানুষ। ফেব্রুয়ারি মাসে একশ দিনের প্রকল্পে কমবেশি ২১ লক্ষ শ্রমিক তাঁদের বকেয়া মজুরি পাবেন। এই ২১ লক্ষ শ্রমিক মানে সরাসরি বেনিফিশিয়ারি প্রায় ১ কোটি মানুষ। যাঁরা এই মাসেই বকেয়া পাওনা বাবদ কেউ কেউ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকাও পেয়ে যেতে পারেন।
মহিলা ও শ্রমিকদের পাশাপাশি মৎস্যজীবীদের জন্য বড় ঘোষণা করা হয়েছে রাজ্য বাজেটে। তাতে বলা হয়েছে, বছরে যে দু’মাস তাঁদের কাজ থাকে না, সেই সময়ে মাসে ৫ হাজার টাকা করে তাঁদের দেবে সরকার। পাশাপাশি সিভিক ভলান্টিয়ার ও ভিলেজ পুলিশদের মাসিক বেতন ১ হাজার টাকা করে বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছে বাজেটে। বাজেটে মিড মিলের রাঁধুনিদের জন্য মাসে অতিরিক্ত ৫০০ টাকা, শিক্ষানবীশ যুবকদের জন্য মাসে দেড় থেকে আড়াই হাজার টাকা স্টাইপেন্ডের মতো ঘোষণাও হয়েছে। তা ছাড়া কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা মে মাস থেকে আরও ৪ শতাংশ বাড়ানোর ঘোষণা হয়েছে বাজেটে।
Total Post View : 71566