সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: জলের অপর নাম জীবন। কেননা জল ছাড়া আমরা কেউই বাঁচতে পারবো না। রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই জলের ওপর কোনওরকমের কর না চাপানোরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসেও তাঁর সরকার এখনও সেই নীতিই অনুসরণ করে চলেছে। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন বাড়িতে বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার দিকেও। সেই সূত্রেই রাজ্যে যেমন জোর কদমে কেন্দ্রের জল জীবন মিশনের কাজ চলছে ঠিক তেমনি কাজ চলছে জলস্বপ্নেরও। এই দুই প্রকল্পের মাধ্যমেই এখন বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে পানীয় জল। তথ্য বলছে ২০২৩ সালে বাংলার মোট ৭৪লক্ষ ১৭ হাজার ২৪৪টি বাড়িতে পানীয় জলের সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছে রাজ্য সরকার। যার জেরে রাজ্যের এখন ১ কোটি ৭৪ লক্ষ পাঁচ হাজার ৪১২টি বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে গিয়েছে। রাজ্যের যে সব বাড়িতে এখনও পানীয় জলের সংযোগ পৌঁছায়নি সেখানেও চলতি বছরের অর্থাত্ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বাড়িতে বাড়িতে পরিস্রুত পানীয় জল পৌঁছে যাওয়ায় কারণে বাংলার বুকে আর্সেনিকে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাও বেশ লক্ষ্যণীয় ভাবে কমে গিয়েছে। এক সময় মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমের একাংশে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যা প্রবল হয়ে উঠেছিল। আর্সেনিকে আক্রান্ত হয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার অনেকে মারাও গিয়েছে। জলঙ্গী, রানিনগর, ডোমকলের মতো ব্লকে সবচেয়ে বেশি মানুষ আর্সেনিকে আক্রান্ত হতেন। সেই ছবি এখন বদলেছে। জেলার ১৬লক্ষ ৭৩হাজার ৫৫৬টি পরিবারের মধ্যে ৫ লক্ষ ৭৫হাজার ৭১০টি বাড়িতে জল পৌঁছেছে। হুগলি জেলায় ৪৯.৯৪ শতাংশ পরিবার পানীয় জল পেয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ৩১.৭০ শতাংশ বাড়িতে পরিস্রুত জল পৌঁছেছে। সেখানকার ১৯ লক্ষ ৭৮৪৮টি পরিবারের মধ্যে ৬ লক্ষ ৫ হাজার ১২৭টি বাড়িতে পরিস্রুত জল গিয়েছে।
Total Post View : 68942