সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বাড়ির সামনে দিয়ে। বানারহাটের প্রতিমা ভদ্র আবার মমতার বড় 'ভক্ত'। চুলে পাক ধরেছে। পরনে সাদা শাড়ি, ফোকলা হাসি, ঘোলাটে চোখে দেখতে চশমা লাগে প্রতিমাদেবীর। বয়স আশির কাছাকাছি। তবু এই শরীর নিয়েও একবার নাগরাকাটা ছুটেছিলেন মমতাকে দেখবেন বলেন।তাঁর খুব ইচ্ছা মমতাকে একবার সামনে থেকে দেখেন। অবশেষে রবিবার সেই ‘মাহেন্দ্রক্ষণ’ এল।
বানারহাটে নেমে স্থানীয় এক শীতলা মন্দিরে রবিবার পুজো দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর স্থানীয় শিশুদের উপহার, বয়স্কদের শীতবস্ত্রও দেন। মমতা যখন রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছেন, প্রতিমাদেবী তখন তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে। মমতাকে দেখেই হাত নাড়েন তিনি। মমতাও একনজর দেখে থমকে দাঁড়ান।এরপর যা হল, বলতে গিয়ে শরীরে যেন শিহরণ হচ্ছে প্রতিমা ভদ্রের। তাঁকে দেখে এগিয়ে আসেন মমতা, এক গাল হাসি। প্রতিমাদেবী বলেন, “আপনাকে দেখার খুব ইচ্ছা ছিল। বহুদিনের সাধ আজ পূরণ হল।” শুনে ওই বৃদ্ধাকে জড়িয়ে ধরেন মমতা। এমন আলিঙ্গনে চোখ ছলছল করে ওঠে পক্ককেশের প্রতিমা ভদ্রের।এরপর হাতে ধরে মমতাকে ঘরের ভিতরে নিয়ে যান প্রতিমাদেবী। তাঁর বাড়িতে গিয়ে বসেন মুখ্যমন্ত্রী, চা পান করেন। ঘুরে দেখেন প্রতিমাদেবীর ঠাকুরঘরও। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক শামা পারভিনও। প্রতিমাদেবীকে মমতা বলেন, “মাসিমা আজ কী রান্না হয়েছে?” আজ আবার প্রতিমাদেবীর বাড়িতে বোরোলি মাছ রান্না হয়েছে। মমতা জানতে চান, রান্না কি বৌমা করেন? হ্যাঁ বলেন তিনিও।প্রতিমাদেবী আবার বলেন, “আশা ছিল একটা ফুলের তোড়া দেব।” শুনেই মমতা বলেন, “তুমি এসব কেন ভাবছ? তুমি তো আমার মা।”ভদ্রবাড়ির এক বৌমা আবার নেপালি। মমতা প্রশংসা করে বলেন, আমারও পরিবারের এক বৌমা নেপালি। মমতা বেরিয়ে গেলেও ভদ্রবাড়ির ঘোর যে কিছুতেই কাটছে না। পরিবারের বউমারা তো এখনও বিশ্বাস করতে পারছেন না, এটা সত্যিই ঘটেছে।
Total Post View : 124