এই মুহূর্তে এই বাংলায় জেলার খবর ভারতবর্ষ-বিশ্ব টুকরো খবর রকমারি জ্যোতিষ তন্ত্র-মন্ত্র যোগাযোগ বিজ্ঞাপন
×

ঘড়ি বিতর্কের পর এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজেও বালুরঘাট পৌরসভার বর্তমান পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে উঠল দুর্ণীতির অভিযোগ, বালুরঘাট পৌরসভা দুর্ণীতির চরম শিখরে বলে তোপ বিজেপির রাজ্য সভাপতি-র

...

Suryasikha News Admin


দুলাল সিংহ; দক্ষিণ দিনাজপুর: ফের দুর্ণীতির অভিযোগের কাঠগড়ায় বালুরঘাট পৌরসভা। ঘড়ি বিতর্কের পর এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজেও বালুরঘাট পৌরসভার বর্তমান পৌর বোর্ডের বিরুদ্ধে উঠল দুর্ণীতির অভিযোগ। মাত্র ১ বার টেন্ডার ডেকে টেন্ডার মূল্যের থেকে কয়েক লক্ষ টাকারও বেশী টাকার বিল বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাকে প্রদানের অভিযোগ, আর.টি.আই করেও টাকার হিসাবের জবাব না পাওয়ায় বিরোধীরা তুলছে প্রশ্ন। বালুরঘাট পৌরসভা দুর্ণীতির চরম শিখরে বলে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে ২০২২ সালে ২-রা সেপ্টেম্বর বালুরঘাট পৌরসভা বালুরঘাট শহরে এল.ই.ডি লাইট লাগানোর জন্য টেন্ডার আহ্বান করে। যে টেন্ডারে ৯ লক্ষ ৮৯ হাজার ২২৪ টাকার উল্লেখ করা হয়। এরপর বালুরঘাট শহরে শুরু হয় তিরাঙা রঙ-এর এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজ। যদিও তার প্রায় মাস খানেকের মধ্যে বালুরঘাট পৌর বোর্ড কোন রুপ টেন্ডার আহ্বান না করেই পৌর বোর্ডের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে বালুরঘাট শহর জুড়ে তিরাঙা এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের বরাত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পূর্বের বরাত পাওয়া ঠিকাদার সংস্থাকে। ঘটনা চাউড় হতেই বালুরঘাট শহরে গুঞ্জন দেখা দেয়। টেন্ডার না ডেকে এত বড় অংকের কাজের বরাত শুধুমাত্র সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নেওয়া আদৌও বৈধ কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজের খরচ জানতে চেয়ে আর.টি.আই করেন নৃপেন্দ্রনাথ কুন্ডু নামের এক ব্যক্তি। কিন্তু পৌরসভার তরফ থেকে সেই আর.টি.আই-এর জবাবে জানিয়ে বলা হয় জিজ্ঞাসা করা প্রশ্নগুলি ব্যক্তিগত আগ্রহে, জনগণের আগ্রহ নয় এবং এর ফলে তথ্য জানার অধিকার আইনের বৈধ লক্ষ্যের যথেষ্ট ক্ষতি হচ্ছে। ঘটনা প্রকাশ হতেই শোরগোল পড়ে গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজে ব্যাপক দুর্ণীতি হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে বিরোধীরা। আর.এস.পি নেতা প্রলয় ঘোষ-এর বক্তব্য তারা প্রথমে শুনেছিলেন প্রথমে বালুরঘাট শহর জুড়ে তিরাঙ্গা লাইট লাগানোর জন্য একটি টেন্ডার হয়েছিল কিন্তু তারপরে গোটা বালুরঘাটে শহরজুড়ে যে লাইট লাগানো হয়েছে তার কোন টেন্ডার হয়নি। প্রলয় ঘোষ বালুরঘাট পৌরসভার পৌরবোর্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন এরা আইন মানবে না বলেই এরা আছে, আমাদের সবার ট্যাক্সের টাকা যদি নয়ছয় হয় সেটা হয়েছে। ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার গোটা রাজ্য জুড়েই এই ধরনের দুর্ণীতি চলছে। আর পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস থাকতে দুর্ণীতি হবে না এটা তো বিশ্বাসযোগ্য নয়। বালুরঘাট পৌরসভা দুর্ণীতির চরম শিখরে। এখানে মাদার টেরিজার মূর্ত্তি সহ অনেক মূর্ত্তি লাগানো হচ্ছে সেখানেও দুর্ণীতির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। অপরদিকে এল.ই.ডি লাইট লাগানোর কাজে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র-র বালুরঘাটের সাংসদ - বিধায়কের ভূমিকা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলে বলেন টেন্ডার প্রক্রিয়া মেনে সরকারি নিয়ম মেনে যা যা উন্নয়ন মূলক কাজ করা দরকার তা বালুরঘাট পৌরসভাতে হচ্ছে। বালুরঘাট পৌরসভার কাজ নিয়ে বালুরঘাট বাসী খুশি। বিরোধীরা তো খুশি হবে না, বিরোধীরা বালুরঘাট পৌরসভা উন্নয়নমূলক কাজ করছে স্বাভাবিকভাবেই সেই উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে সমালোচনা করে তারা প্রচারের আলোয় আসার জন্য এগুলি করছেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলা শাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন পৌরসভার কাজ নিয়ে কোন অভিযোগ পেলে আমরা দেখব, বাকি বিস্তারিত না জেনে মন্তব্য করতে পারব না।

Tag:

Total Post View : 120


সম্পর্কিত খবর