দক্ষিণ দিনাজপুর: দত্তক নেওয়া গ্রামের দখল কার, তা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে রাজনৈতিক তরজা শুরু। চকরাম প্রসাদ বুথে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূল প্রার্থীকে এবং পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম-কে হারিয়ে ভোটে জয়ী যে বিজেপি প্রার্থী তা স্মরণ করিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-কে তীব্র কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার-এর। উল্লেখ বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সাংসদ হওয়ার পর ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম গ্রামটি দত্তক নেন। এও উল্লেখ যে বিগত নির্বাচনগুলিতে চকরাম গ্রামে বুথ একটি থাকলেও সদ্য সমাপ্ত ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ঐ বুথটি ভেঙ্গে ২টি বুথ যথাক্রমে চকরাম ও চকরাম প্রসাদ বুথ হয়। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হলে দেখা যায় ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরামপ্রসাদ বুথটি থেকে বিজেপির প্রার্থী ৩৩ ভোটে জয়ী হয় এবং চকরাম বুথে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ১১২ ভোটে জয়ী হয়। গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে একটি বুথে তৃণমূল কংগ্রেস এবং একটি বুথে বিজেপি প্রার্থী জয়ী হলেও জানা গেছে ঐ দুটি বুথেই পঞ্চায়েত সমিতি আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম নিজের গ্রামেই বিজেপির সোমা কিসকু-র কাছে হেরে যান। যদিও ঐ দুটি বুথ থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা পরিষদের আসনের প্রার্থী এগিয়ে ছিল বলে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় সূত্রে খবর। পরবর্তী সময়ে ৫নং ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। রাজনৈতিক তরজার সূত্রপাত গত ২৮-শে আগস্ট তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জনসভাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর একটি মন্তব্য ঘিরে। ঐ জনসভাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে হেরেছে। যার পরেই সুকান্ত মজুমদার টুইট করে পাল্টা তোপ দাগেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দিকে। সুকান্ত মজুমদার নিজের টুইটার একাউন্ট থেকে ট্যুইট করে জানান চকরাম প্রসাদ বুথে বিজেপি প্রার্থী অমলি হাসদা জয়লাভ করেছেন এবং তিনি এও জানান বিজেপি প্রার্থী সোমা কিসকু পঞ্চায়েত সমিতি আসন থেকে জয়লাভ করেছেন। শুধু ট্যুইট করাই নয় নিজের প্রকাশ করা ভিডিও বাইটে সুকান্ত মজুমদার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর উদ্দেশ্যে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি দখল করেছে, প্রধান বিজেপির, উপপ্রধান বিজেপির, আপনি রাজ্যের নেতা তৃণমূল কংগ্রেসের, এটুকু খবর রাখেন না, রাজ্য চালাবেন কি করে এরপরে পিসি না থাকলে তো অনাথ অনাথ হয়ে যাবে।