বর্ণালী রায়; দক্ষিণ দিনাজপুর: সারা ভারতে আইআইটি জেএএম পরীক্ষায় ১২৬ র্যাঙ্ক বালুরঘাটের নীলাঞ্জন-এর, অভাবী পরিবারের মেধাবী ছাত্রের পাশে দাঁড়াতে হাজির স্বয়ং ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তপন বিধানসভা কেন্দ্র এলাকার ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম রায়নগর গ্রামের বাসিন্দা নীলাঞ্জন মন্ডল। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে নীলাঞ্জন ছোট থেকেই ছিল মেধাবি। পরিবারের আর্থিক অস্বচ্ছলতাকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নিজের স্বপ্নের উড়ানে ভর করে আইআইটি জেএএম পরীক্ষায় বসে নীলাঞ্জন। এরপর পরীক্ষার রেজাল্ট বের হতেই সারা ভারতে ১২৬ র্যাঙ্ক করে তাক লাগিয়ে দেয় নীলাঞ্জন। কিন্তু সেই সাথে নিলাঞ্জনের পরিবারের কপালে দেখা দেয় চিন্তার ভাজ। নীলাঞ্জনের উচ্চ শিক্ষার অর্থ জোগাড় কিভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তিত ছিল নীলাঞ্জনের পরিবার। খবর পেয়ে রবিবার কার্যত নীলাঞ্জন-এর বাড়িতে হাজির হন স্বয়ং ভারতের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড: সুকান্ত মজুমদার। এদিন সুকান্ত মজুমদার নীলাঞ্জনকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি নীলাঞ্জনের উচ্চ শিক্ষা অর্জনে সর্বতোভাবে পাশে থাকার আশ্বাস দেন। স্বয়ং শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসে খুশি নীলাঞ্জন এবং নীলাঞ্জনের পরিবার। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন তিনি আইআইটি রুরকি কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাতে নীলাঞ্জন মন্ডল-এর ভর্তি বিষয়ে কোন আর্থিক প্রতিবন্ধকতা না থাকে। তিনি জানান বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। সুকান্ত মজুমদার বলেন নীলাঞ্জন সারা দেশের সামনে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নাম গর্বের সাথে তুলে ধরুক, আমার আন্তরিক শুভ কামনা রইল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটের মেধাবী ছাত্রের পাশে দাঁড়ানোয় খুশি জেলার শিক্ষা মহল। জেলার শিক্ষাপ্রেমী মানুষদের একাংশের বক্তব্য সুকান্ত মজুমদার কার্যত দেবদূত হয়ে অভাবী পরিবারের মেধাবী ছাত্রের বাড়িতে গিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। এতে গরিব পরিবারের মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের মনোবল বাড়বে। হিলি এসআইবি গভর্নমেন্ট কলেজের অধ্যাপক অভিজিৎ সরকার বলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ড: সুকান্ত মজুমদার যেভাবে একজন গ্রামের মেধাবী ছাত্রের পাশে দাঁড়াচ্ছেন এটা দৃষ্টান্ত। এরফলে গ্রামের মেধাবী ছাত্র - ছাত্রীরাও প্রেরণা পাবে।
Total Post View : 36573