দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বাজারে দখল বাড়িয়েছে কাসা পিতলের কুলা, ছট পূজার প্রাক্কালেও বাশের কুলার চাহিদা কম থাকায় মাথায় হাত বাশের কুলা বিক্রেতাদের। উল্লেখ বিবাহ বা অন্যান্য পূজা অনুষ্ঠানে বাশের তৈরী কুলার চাহিদা থাকলেও মূলত ছট পূজার প্রাক্কালে বাশের কুলার ব্যাপক চাহিদা থাকে। ফলে বাশের তৈরী কুলা তৈরীর কাজের সঙ্গে যুক্ত এবং কুলা বিক্রেতারা বাড়তি লাভের আশায় ছটপূজার উপরে অনেকটা নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে বাশের কুলা তৈরীর কাজের সঙ্গে যুক্তদের বক্তব্য চলতি বছরে বাশের কুলা তৈরীর অর্ডার কুলা বিক্রেতাদের কাছ থেকে অনেক কম পেয়েছেন। তাদের বক্তব্য বাজারে কাসা পিতলের কুলা বাড়বাড়ন্তে চাহিদা কমেছে বাশের কুলা-র৷ ফলে বাড়তি লাভের আশা তো দূর অন্ত, রুটি রোজগারের উপায়ের ভাবনা পরিবর্তনের কথা তারা চিন্তা করতে শুরু করেছেন। বাশের কুলা তৈরীর কাজে যুক্ত রুকমনি শীল জানিয়েছেন এবছর প্রায় ৬০টি কুলা তিনি বানিয়েছেন, অন্যান্য বছর প্রায় দেড়শো-র বেশী কুলা বানানোর অর্ডার পেতেন। অপরদিকে শুধু কুলা তৈরীর কাজে যুক্তদের কপালে যে শুধু চিন্তার ভাজ তা নয়, প্রত্যাশা মাফিক বাশের কুলা বিক্রি না হওয়ায় কুলা বিক্রেতাদের কপালেও চিন্তার ভাজ পড়তে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। সঞ্জিত সরকার নামের এক কুলা বিক্রেতা জানিয়েছেন বিগত বছরগুলিতে ছট পূজার আগে হাটে - বাজারে বাশের তৈরী কুলার চাহিদা ব্যাপক থাকত, এবারে কুলার চাহিদা অন্যান্যবারের তুলনায় অনেক কম। উনারও বক্তব্য বাজারে কাসা - পিতলের কুলা দেদার বিক্রির কারনে বিক্রি কমেছে বাশের তৈরীর কুলা-র।
Total Post View : 31610