দক্ষিণ দিনাজপুরঃ সরকারি পার্কের পরিচালনা বেসরকারি মালিকের হাতে দেওয়ার সিদ্ধান্তে বালুরঘাট জুড়ে কটাক্ষের ঝড়। বালুরঘাট জুড়ে উঠছে কটাক্ষের রব - পার্ক পরিচালিনার কোচিং নিক বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতি। বালুরঘাট শহর লাগোয়া হোসেনপুর এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির তত্ত্বাবধানে রয়েছে বড় মাপের আরণ্যক পার্কটি। যেখানে একসময় বড় জলাধারে শুধু বোটিংই চলত না, শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য টয় ট্রেনেরও ব্যবস্থা ছিল সেখানে। রয়েছে মুক্ত মঞ্চও। বিগত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রবীর রায়ের হাত ধরেই যে আরন্যক উদ্যানটি এক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল। কিন্তু সবকিছু থেকেও আজ যেন শূন্য এই আরন্যক উদ্যানটি। কারণ সেখানে আর যাওয়া আসা নেই সাধারণ মানুষের। প্রায় দু বছর আগে যুবক-যুবতীদের নানা অশ্লীল কাজকর্মের ভিডিও সামনে আসতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল আরন্যক উদ্যানটি। এরপর পঞ্চায়েত সমিতির নতুন বোর্ড আসার পরেই তড়িঘড়ি তারা সেটিকে পিপিপি মডেলে রুপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী পার্কের গেটেও কার্যত জ্বলজ্বল করছে বেসরকারি মালিকের নাম। ঘটনা চাউড় হতেই বালুরঘাট জুড়ে ক্ষোভ দেখা গিয়েছে। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার বলেন , 'সরকারি সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণ অনেক বড় বিষয়। এটি চালাতে যে টাকা ব্যয় হচ্ছিল, সেই পরিমাণ আয় হচ্ছিল না। বিগত পাঁচ বছরে রক্ষণাবেক্ষণের খরচ আমরা তুলতে পারিনি। একদম লস প্রজেক্টে যাচ্ছিল। তাই পিপিপি মডেল করা হয়েছে। এটি সরকারি সম্পত্তিই থাকবে। বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝা জানান, 'আরণ্যক পার্ক পঞ্চায়েত সমিতির একটি বড় সম্পত্তি। যার সঙ্গে বালুরঘাটবাসীর ঐতিহ্য ও আবেগ জড়িয়ে। এটি প্রায় দু বছর বন্ধ ছিল। কারণ পরিচালনা করা যাচ্ছিল না। নতুন বোর্ড এসে সেটিকে হাট ও ঘাট যেমন লিজ দেওয়া হয়। তেমন লিজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
Total Post View : 33662