সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: প্রায় সাড়ে তিনমাস শুনানির পরে অবশেষে স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় দিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ। এসএসসির গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি, নবম দশম ও একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, যেটা হয়েছে তা সংগঠিত অপরাধ। মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে কোনও চাকরি বৈধ নয় বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন বাতিল হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরি। । মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যাঁরা চাকরি পেয়েছিলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ১২ শতাংশ সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে আর ছয় সপ্তাহের মধ্যে এব্যাপারে ডিআই ও জেলাশাসকদের রিপোর্ট পেশ করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। পাশাপাশি ২৩ লক্ষ ওএমআর শিটের পুনমূল্যায়ন করে ফেলব প্যানেল প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই রায়ে ভোটের মুখে দুর্নীতি নিয়ে বড় ধাক্কা খেল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাবিনেট বাড়তি যেসব পদ তৈরি করেছিল, তাও বাতিল করেছে হাইকোর্ট। এই বতিলের মধ্যেও সোমা দাস নামে একজনকে মানবতার খাতিরে চাকরি দেওয়া হয়েছি, একমাত্র তার চাকরিই রয়েছে। হাইকোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন, এই সবকটি ক্ষেত্রে ২৪ হাজার ৬৪০ টি শূন্যপদ ছিল, দেখা যায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জনকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তিনি আরও জানান, এই সব ক্ষেত্রে ছিল একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যেমন র্যাঙ্ক জাম্প করে চাকরি দেওয়া, ওএমআর শিটে শূন্য বা ১ পাওয়া সত্ত্বেও চাকরি দেওয়া, তালিকায় নাম না থাকা প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। সেই সব বিষয়গুলি শোনার পর সোমবার রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট।
Total Post View : 42763