দক্ষিণ দিনাজপুর: অচল ঘড়ি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের মুখে বালুরঘাট পৌরসভা, ঘড়ি প্রতিস্থাপনের খরচ নিয়ে বালুরঘাট পৌরসভার বিরুদ্ধে দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে সরব বিরোধীরা। বালুরঘাটের বাসিন্দাদের যাতে সময় দেখতে অসুবিধা না হয় সেই কারনে বালুরঘাট পৌরসভায় বামফ্রন্ট বোর্ড থাকাকালীন বালুরঘাট পাবলিক বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় প্রতিস্থাপন হয় একটি টাওয়ার ক্লক বা ঘড়ি। পরবর্তী সময়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ঐ ঘড়িটি বন্ধ থাকবার পর ২০২২ সালে বালুরঘাট পৌরসভার তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত বোর্ড আসার পর ফের ঐ স্থানে ঘড়িটি প্রতিস্থাপন করে এবং সেই সঙ্গে ঐ টাওয়ার ক্লকের মাথার উপরে স্থাপন করে বিশ্ববাংলার লোগো। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ঘড়িটি প্রতিস্থাপন ও টাওয়ার ক্লকের টাওয়ারের সৌন্দর্য্যায়নের জন্য খরচ হয় প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। যার পরে ঘড়িটি কিছুদিন সঠিক সময় প্রদান করলেও বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ঘড়ির কাটা তীব্র গতিতে অনবরত ঘুরে চলেছে। ঘড়ির সহ আনুসাঙ্গিক সৌন্দর্য্যায়নের জন্য বিপুল অংকের টাকা খরচের পরেও বালুরঘাট শহরের টাওয়ার ক্লকের এহেন দশার কারনে ঘড়ির ভিডিও প্রকাশ করে ইতিমধ্যে শহরের বাসিন্দারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল করতে শুরু করেছে। অপরদিকে বালুরঘাটের এই অচল ঘড়িকে কেন্দ্র করে দুর্ণীতির অভিযোগ তুলে বালুরঘাট পৌরসভার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরাও। বালুরঘাট পৌরসভার আর.এস.পি-র প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা আর.এস.পি দলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কমিটির সদস্য প্রলয় ঘোষ তীব্র কটাক্ষ করে বলেন এটা তো চুরি, এই চুরিটা নাহলে আমি অবাক হতাম এই বোর্ডের কাছে, ৯ লক্ষ টাকা দিয়ে কোন ঘড়ি ঠিক করল কি করল তারপর এরকম অবস্থা হবে। তিনি বলেন ঘড়িটি ঠিকঠাক থাকলে তবেই আমি অবাক হতাম। শুধু তাই নয় তিনি বর্তমান বালুরঘাট পৌরসভার পৌরবোর্ডের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেন এদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে যেভাবেই হোক করে খায়। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরুপ চৌধুরী বলেন এরা সাধারণত বিভিন্ন সারাই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যে পরিমাণে দুর্ণীতি করছে, সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস যেভাবে দুর্ণীতি করছে এটা মেনে নেওয়া যায় না, কোন রাজনৈতিক দল মানতে পারবে না। তিনি তদন্ত কমিটি গড়ে তদন্ত করারও দাবী তোলার পাশাপাশি বলেন টাকার পরিমাণ কম নয় একটা পুরোনো জিনিস সংস্কার করতে এরা ৯ লক্ষ টাকা খরচ করেছে, এর জবাবদিহি এদের দিতে হবে নইলে আমরা এর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলব। অপরদিকে অচল ঘড়ি বিষয়ে বালুরঘাট পৌরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে ঘড়ি খারাপ হয়ে পড়ে থাকাটা ভুল তথ্য। তিনি জানিয়েছেন টেকনিক্যাল ইলেকট্রিক্যাল সমস্যা ঘড়িটাতে দেখা দিয়েছে, ঘড়িটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব এজেন্সিকে দেওয়া আছে, টেকনিক্যাল এক্সপার্ট এসেছেন, কাজ করছেন। তিনি এও জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই ঘড়িটি ঠিক হয়ে যাবে।