দক্ষিণ দিনাজপুরঃ এনসিইএল-এর নিয়মের গেরোয় দক্ষিণ দিনাজপুরের রপ্তানি ব্যবসায় বজ্রাঘাত! ভারতীয় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানি ব্যবসায় মন্দা পড়ার শঙ্কা। নতুন নিয়মের গেরোয় ব্যবসা বন্ধ হওয়ার শঙ্কায় কপালে চিন্তার ভাজ রপ্তানী ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গেছে দেশের বাইরে বিদেশে লাভজনক পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি জারি করত ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড। যে বিজ্ঞপ্তি দেখে লাভজনক পণ্য হিলি স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশে রপ্তানী করত মূলত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রপ্তানি ব্যবসায়ীরা। সূত্র মারফৎ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি করার থেকে ভারত সরকারের আয় হত বছরে প্রায় ৬০০ - ৬৫০ কোটি টাকা। কিন্তু বর্তমানে একাধিক লাভজনক পণ্য বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রে ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড-এর পরিবর্তে ভারত সরকারের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কারনে সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আমদানি - রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের একটা বৃহৎ অংশ। রপ্তানী ব্যবসায়ীদের সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে ভারত সরকারের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির জন্য ৪৫ পাতার নিয়ম রয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ব্যবসায়ীদের কো-অপারেটিভ থাকতে হবে, সেই কো-অপারেটিভের ২০০০ কোটি টাকার ফান্ড থাকতে হবে এবং সেই কো-অপারেটিভটিকে শেয়ার মার্কেট অধীনস্হ তালিকাভুক্ত হতে হবে, এমনকি কো-অপারেটিভের ২০০০০ শেয়ার শেয়ার মার্কেটে থাকতে হবে। জানা গেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় প্রায় ১৬০ - ১৭০ জন ব্যবসায়ী আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। যারা প্রধানত হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকেন। কিন্তু বর্তমানে বেশীরভাগ লাভজনক পন্য রপ্তানির বিজ্ঞপ্তি ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড-এর পরিবর্তে ভারত সরকারের ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার কারনে সমস্যায় পড়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ীদের একটা বৃহৎ অংশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শর্তে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার এক রপ্তানী ব্যবসায়ী বলেন বর্তমানে তারা লক্ষ্য করছেন লাভ জনক পণ্য রপ্তানির বিজ্ঞপ্তিগুলি প্রকাশ করছে ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ এক্সপোর্ট লিমিটেড। ফলে তারা পণ্য রপ্তানি করতে পারছেন না, কারন তাদের পক্ষে কো-অপারেটিভ তৈরী করে সেই কো-অপারেটিভের ২০০০ কোটি টাকার নিজস্ব ফান্ডও জোগাড় করা প্রায় অসম্ভব বিষয়। উনার বক্তব্য পুজিবাদী নিয়মের সাথে তালে তাল মিলিয়ে চলতে না পারায় তাদের রপ্তানি ব্যবসা বর্তমানে লাটে উঠবার জোগাড়। অপরদিকে রপ্তানি ক্ষেত্রে এই নিয়মের গেরো নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ী মহল। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানী কম হলে প্রভাব পড়বে সরকারি রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রেও। হিলি এক্সপোটার্স এন্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্টস এসোসিয়েশনের কার্যকরি সভাপতি আলাউদ্দিন মন্ডল জানিয়েছেন বিগত সময়ে তারা ডাইরেক্টর জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড থেকে সুবিধা পেয়েছিলেন কিন্তু এখন তাদের মনে হচ্ছে একটা চক্র কাজ করছে। তিনি বলেন বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বঞ্চিত করার পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে, বিশেষ কাউকে সুবিধা দেওয়ার জন্য মনে হচ্ছে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে।
Total Post View : 72559