বর্ণালী রায়; দক্ষিণ দিনাজপুর: ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়ে কালিমালিপ্তের চেষ্টা! বিজেপি-র রাজ্য সভাপতির স্ত্রী-কে "অযোগ্য" বলে সোশ্যাল মিডিয়ার ভুয়ো পোস্ট করে পুড়ল মুখ। ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল হতেই পাল্টা তোপ দাগলেন সুকান্ত মজুমদার-এর স্ত্রী। উল্লেখ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক চাকরিহারা হতেই রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে গোটা দেশ জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়। ঘটনা পরবর্তী সময়ে চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের কর্মে বহাল রাখার সওয়াল করবার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ড: সুকান্ত মজুমদার। চাকরিহারা শিক্ষক - শিক্ষিকাদের একাংশ যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশের দাবীতে সোমবার থেকে এসএসসি অফিস ঘেরাও করে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করছে। এরই মাঝে সুকান্ত মজুমদার-এর স্ত্রী অযোগ্য তালিকায় রয়েছে বলে দাবী করে ভুয়ো পোস্ট ভাইরাল হয়। যার পরেই সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেন সুকান্ত মজুমদার-এর স্ত্রী পেশায় শিক্ষিকা কোয়েল চৌধুরী মজুমদার। তিনি জানান ২০০৮ সালে কর্মক্ষেত্রে নিযুক্ত হয়েছিলেন, ২০১৬ সালের এসএসএসি-র মাধ্যমে তিনি নিযুক্ত হননি। সানাপাড়া এসসি হাই স্কুলের বোটানি-র শিক্ষিকা কোয়েল চৌধুরী মজুমদার জানান তিনি তার সময়ে নর্থ জোনে দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। এরপরেই তিনি ভুয়ো পোস্টে উনাকে আক্রমণ করে কমেন্টস করা ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে কার্যত তোপ দেগে বলেন খোঁজ খবর না নিয়ে কমেন্টস করলে অশিক্ষিততা প্রকাশ পাবে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা হয়তবা ভুয়ো পোস্টকারীরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সুকান্ত মজুমদার-কে কালিমালিপ্ত করতেই তার স্ত্রী-র নামে ভুয়ো পোস্ট ছড়িয়েছে। অপরদিকে এহেন ঘটনা চাউড় হতেই বালুরঘাটে নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে।বালুরঘাটের শহরের ২১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় শিক্ষক সুদীপ আচার্য্য বলেন এই ধরনের নোংরামো আমরা বালুরঘাটের মানুষরা সহ্য করব না। তিনি বলেন একজন মেধাবি ও বালুরঘাটের শিক্ষিকাকে যদি এভাবে অপবাদ দিয়ে কালিমালিপ্ত করবার চেষ্টা করা হয় তাহলে আমরা শিক্ষাপ্রেমী মানুষরা তা মেনে নেব না, প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাব।