দুলাল সিংহ; দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বইমেলা ঘিরে নাটকের শহর বালুরঘাটের অভিমুখ সাহিত্যে, "লেখক তৈরীর কারখানা" চলুক সারাবছর - উঠছে দাবী। লেখক তৈরীর উদ্দেশ্যে ও লেখনী প্রতিভার বিকাশে ২৮তম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বই মেলা প্রাঙ্গনে প্রত্যহ চলছে স্বরচিত কবিতা ও অনুগল্প লিখনের আসর। যেখানে মূলত অংশগ্রহণ করছে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা। লেখার পর মিলছে শংসাপত্র, উপহার স্বরুপ দেওয়া হচ্ছে কলম। শুধু তাই নয় বই মেলা প্রাঙ্গনে স্বরচিত কবিতা ও অনুগল্প লিখনের আসরে স্থানাধিকারী লেখার লেখকদের পুরস্কৃত করবার পাশাপাশি ভাল লেখাগুলিকে জেলা বই মেলার স্মরণিকাতে স্থান দেওয়ার সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই নিয়েছে বই মেলা কর্তৃপক্ষ। পরিসংখ্যান বলছে গত ২ দিনে বই মেলা প্রাঙ্গণের স্বরচিত কবিতা ও অনুগল্প লিখনের আসরে অংশ গ্রহণ করেছে ৪১ জন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সানি মিশ্র-র মস্তিষ্কপ্রসূত বইমেলা কর্তৃপক্ষের এহেন উদ্যোগের হু হু করে করে বাড়ছে যেমন জনপ্রিয়তা তেমনি সারাবছর জারি থাকুক এহেন উদ্যোগ উঠছে এমন দাবী-ও। বঙ্গরত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিক বিশ্বনাথ লাহা বলেন এই ধরণের উদ্যোগ প্রশংসনীয়, এর আরও ব্যপ্তি ঘটাতে জেলা জুড়ে আরও প্রচার প্রয়োজন ছিল। তিনি বলেন শিল্পীরা প্লাটফর্ম পায় কিন্তু যারা গল্প - কবিতা লেখে তাদের সে অর্থে প্লাটফর্ম নেই, এই উদ্যোগ সারা বছর ধরে জারি রাখা উচিৎ, তাতে আগামীদিনে প্রচুর লেখক উঠে আসবে। বালুরঘাটের কবিতীর্থ পাড়ার বাসিন্দা সাহিত্য জগতে নবাগত কবি মামুনি সরকার বলেন এই উদ্যোগ খুব ভাল, এই জেলার নবপ্রজন্মের জন্য এটি একটি প্লাটফর্ম নিজেদের লেখা তুলে ধরার জন্য, এতে ছাত্র ছাত্রীরা অত্যন্ত উৎসাহিত। জেলা বই মেলা কর্তৃপক্ষের এহেন উদ্যোগ প্রসঙ্গে জেলার সাহিত্য মহলে জোর দাবী উঠতে শুরু করেছে - এহেন "লেখক তৈরীর কারখানা" চলুক সারাবছর। দক্ষিণ দিনাজপুর বইমেলার লিটল ম্যাগাজিনের সাব কমিটির অতিথি সদস্য তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক সানি মিশ্র বলেন এই উদ্যোগের সাফল্য আমরা বিচার করে পরবর্তী সময়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আমরা প্রস্তাব রাখার এবং কিভাবে এটিকে সারাবছর জারি রাখা যায় তার বিকল্প চিন্তাভাবনা আমরা করতে পারি। তিনি বলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার নবপ্রজন্ম লেখার ইচ্ছা শক্তিতে এগিয়ে।