দুলাল সিংহ; দক্ষিণ দিনাজপুরঃ বালুরঘাট-হিলি রেলপথ স্থাপনে উচ্ছেদের আশঙ্কায় থাকা ডুমইর কলোনীতে বাস করা পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য রেল কর্তৃপক্ষের পরিবর্তে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ বিজেপি। পুনর্বাসনের জন্য বিজেপির এহেন পদক্ষেপকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে তোপ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদিকা অর্পিতা ঘোষ-এর। উল্লেখ বালুরঘাট হিলি রেলপথ স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য সার্ভের কাজ ইতিমধ্যেই সমাপ্ত। সার্ভের কাজ সমাপ্ত হওয়ার সাথে সাথেই রেল খুঁটিও পুতে দিয়েছে। যার পর থেকে ভিটেমাটি হারানোর আশঙ্কায় দিন গুনছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের অমৃতখন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের দৌল্লা এলাকার ডুমইর কলোনীর বাসিন্দা। ঐ কলোনীর বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে তারা সরকারি খাস জমিতে দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে বসবাস করে আসছেন। ডুমইর কলোনির বাসিন্দাদের বক্তব্য তাদের কাছে কোন কাগজপত্র নেই। ফলে রেলপথ স্থাপনের জন্য রেল যদি ডুমইর কলোনীর জমি অধিগ্রহণ করে তবে তাদের ভিটেমাটি বাড়িঘর ছেড়ে কার্যত রাস্তায় থাকতে হবে। তাদের এও বক্তব্য যেহেতু তাদের বসবাস করা ঐ জমির কোন কাগজপত্র তাদের কাছে নেই সুতরাং রেলের কাছ থেকে তারা কোন ক্ষতিপূরনও পাবেন না এই আশঙ্কার ঘোরে ছিল কার্যত গোটা ডুমইর কলোনী। ডুমইর কলোনীর এই বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের দাবী জানিয়ে তাদেরকে সাথে নিয়ে মঙ্গলবার জেলা শাসকের দ্বারস্থ হন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার। যার পরে তিনি সংবাদমাধ্যমের জানান তারা সরকারকে জানিয়েছেন ডুমইর কলোনীর বাসিন্দাদের পাট্টা দেওয়া বা সরকারি কোন জায়গা কিনে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবার জন্য। সেই সঙ্গে আবেদনে সাড়া না দিলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামারও হুশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা বাপি সরকার। ঘটনাকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর তরজা। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে উচ্ছেদ করলে রেল দপ্তর উচ্ছেদ করবে তাহলে রেলের কাছে পুনর্বাসনের আবেদন না করে জেলা শাসকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের দ্বারস্থ কেন বিজেপি।