এই মুহূর্তে এই বাংলায় জেলার খবর ভারতবর্ষ-বিশ্ব টুকরো খবর রকমারি জ্যোতিষ তন্ত্র-মন্ত্র যোগাযোগ বিজ্ঞাপন
×

হেরে যাওয়া প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য দলবল নিয়ে গিয়ে বিডিও-র উপর চাপ সৃষ্টির বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি

...

Suryasikha News Admin


দক্ষিণ দিনাজপুর: হেরে যাওয়া প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য দলবল নিয়ে গিয়ে বিডিও-র উপর চাপ সৃষ্টির বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সত্যতা যাচাই না করা ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের সেই স্ক্রনশটটি বালুরঘাটের বিডিও-র করা বলে বিভিন্ন মহলে দাবী করা হচ্ছে। যে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হতেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তবে কি চাপ দিয়েই চলছে পঞ্চায়েতে কোন প্রার্থীর হার-জিত খেলা। ঘটনার সি.বি.আই তদন্তের দাবী তুলছেন সাধারণ মানুষরা।

উল্লেখ বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম বিজেপি প্রার্থীর কাছে ভোটে হেরে যান। অভিযোগ যার পরে তিনি বুধবার বালুরঘাট ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন বর্মন সহ দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আই.এন.টি.টি.ইউ.সি-র সহ সভাপতি রাকেশ শীল ও আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে বালুরঘাট ব্লকের বিডিও-র অফিসে যান। ভাইরাল হওয়া স্ক্রিনশটে দাবী করা হয়েছে কয়েকজন যুবক বিডিও-কে রাকেশ শীল-এর সামনে হাজির হতে বলে অন্যথায় বিডিও-র কোয়ার্টারে সমাজবিরোধী ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। যদিও ভাইরাল হওয়া এই স্ক্রিনশটের চ্যাটটি বালুরঘাটের বিডিও অনুজ সিকদার তার অফিসের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে করেছেন কিনা তা জানতে এদিন বালুরঘাটের বিডিও-র সাথে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও উনি ফোন না ধরায় এবং খবর লেখার সময় অবধি ম্যাসেজের উত্তর না দেওয়ায় এই বিষয়ে উনার বক্তব্য জানা যায়নি। এই প্রসঙ্গে স্নেহলতা হেমব্রম বলেন এরকম কোন কিছুই হয়নি, যেটা বলেছে সেটা পুরোটাই মিথ্যে, যেহেতু আমার পুর্নগণনা হয়নি সেই কারনে আমি আবেদন জমা দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম, চাপ সৃষ্টি করার জন্য আমি যায়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে রাকেশ শীল-এর বক্তব্য জানতে উনার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও যোগাযোগ না হওয়ায় উনার বক্তব্য জানা যায়নি। ঘটনা প্রসঙ্গে বালুরঘাট ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি স্বপন বর্মণ বলেন বিডিও উপরে চাপ সৃষ্টি না, পুর্ণগননার জন্য জন্য আবেদন দিতে গিয়েছিলাম, তারপরে এটি বিডিও সাহেব ভাইরাল করে, এটি আদৌও কিছু নয়, রাকেশ শীল গিয়েছিল রিসিভ করানোর জন্য, তারপরে আমার সাথে বিডিও-র কথা হয়েছে। তবে তিনি স্বীকার করে বলেন ২ জন ছেলে বিডিও-র আবাসনে গিয়েছিল আমাকে না জানিয়ে। ভাইরাল হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের স্ক্রিনশট শেয়ার করে অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন আমাদের প্রার্থীকে ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে জেতার পরেও তাকে সার্টিফিকেট না দিয়ে চক্রান্ত চলছিল, সেই চক্রান্ত ভোটের ফলাফল সার্টিফিকেট দেওয়ার পরেও শেষ হয়নি। তিনি বলেন তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডারা বিডিওকে গিয়ে ধমকাচ্ছে সেই বিডিওকে যে বিডিও বলে রন্ধে রন্ধে আমি তৃণমূল, সেই বিডিও জোর করে আমাদেরকে হারিয়েছে বিভিন্ন জায়গায়, তারপরে সেই বিডিও নিজের অফিসিয়াল গ্রুপে লিখতে বাধ্য হয়েছে তৃণমূলের কিছু গুন্ডা গিয়ে তাকে ধমকাচ্ছেন চমকাচ্ছে যাতে সে স্নেহলতা হেমব্রম-কে সার্টিফিকেট দেয় বিজেপি প্রার্থীর পরিবর্তে। তার অভিযোগ নির্বাচনের নামে সম্পূর্ণ প্রহসন হয়েছে এবং বিডিও-রা এই প্রহসনের সঙ্গে যুক্ত। অপরদিকে এই ঘটনা চাউড় হতেই সাধারণ মানুষরা ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবীতে সরব হয়েছেন।

Tag:

Total Post View : 123


সম্পর্কিত খবর