দক্ষিণ দিনাজপুর: সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির বিজেপির জলছত্রে। দাপট কালী মাতার পূজোয় আসা হিন্দু দর্শনার্থীদের জল খাওয়ালেন মুসলিম ভাই-রা। সম্প্রীতির এই বাতাবরণে খুশি সাধারণ মানুষরাও। উল্লেখ শনিবার থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের ত্রিমোহিনী এলাকায় শুরু হয়েছে দাপট কালী মাতার পূজো। প্রতিবছর দাপট কালী মাতার পূজো উপলক্ষ্যে প্রায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে দাপট কালী মাতার মন্দিরে। চলতি বছরে দাপট কালী মাতার পূজো উপলক্ষ্যে দাপট কালী মাতার মন্দির সংলগ্ন স্থলে জলছত্র খুলেছিল হিলি ব্লকের বিজেপির পক্ষ থেকে। যে জলছত্রে আগত হিন্দু দর্শনার্থীদের জল খাওয়ানোর দায়িত্ব কাধে তুলে নেন মুসলিম ভাইরা। শনিবার দেখা যায় বিজেপির জলছত্রে মুসলিম ভাইরা নিজে হাতে হিন্দু দর্শনার্থীদের জল তৃষ্ণা নিবারণের ব্যবস্থা করছেন। সম্প্রীতির বাতাবরণের যে দৃশ্য দেখে খুশি সাধারণ মানুষরা। দাপট কালি মাতার মন্দির দর্শনে আসা জলছত্র জল পান করে তৃষ্ণা নিবারণ করা দর্শনার্থী পলাশ ভট্টাচার্য বলেন এভাবেই আমরা প্রত্যেকে সম্প্রীতির বাতাবরণ একে অপরের উৎসবে সামিল হব - একে অপরের প্রয়োজনে পাশে দাঁড়াব, এটাই আমাদের ভারতের ঐতিহ্য। সূত্র মারফৎ জানা গেছে বর্তমানে হিলি ব্লকের ধলপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু সংখ্যক সংখ্যালঘু মানুষ ইতিমধ্যেই ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে কাজে নেমেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের অনুমান হিলি বালুরঘাট রেল প্রকল্প নিয়ে বিজেপির নির্বাচনী প্রচারের ফলে হিলিতে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কেও প্রভাব বিস্তার করছে বিজেপি। অপরদিকে ত্রিমোহিনীতে বিজেপির জলছত্রে সম্প্রীতির বাতাবরণ নিয়ে হিলি ব্লকের বিজেপির সভাপতি জয়ন্ত মহন্ত-র বক্তব্য ভারতীয় জনতা পার্টি এবং নরেন্দ্র মোদী-র একটাই কথা সবকা সাথ সবকা বিকাশ। বিজেপির ব্লক সভাপতির অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে ভারতীয় জনতা পার্টি যদি পশ্চিমবঙ্গে আসে তাহলে সম্প্রতি নষ্ট হবে বলে। সেই সঙ্গে তিনি এদিন দাবী করেন ভারতবর্ষের ২০টি রাজ্যে ভারতীয় জনতা পার্টি ক্ষমতায় রয়েছে, কেউ যদি দেখাতে পারে একজনও মুসলমান সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ অত্যাচারিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গে এসে থাকে তাহলে আমি মাথা ন্যাড়া করে তৃণমূল কংগ্রেস যা বলবে তা করব। জয়ন্ত মহন্ত-র এও দাবী আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে হিলি ব্লকের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে বড় প্রভাব দেখা যাবে বিজেপির, তার দাবী শিক্ষিত সংখ্যালঘু মানুষরা বুঝে গেছে।