সূর্যশিখা নিউজ ডেস্ক: শক্তিপীঠ হল হিন্দুধর্মের পবিত্রতম তীর্থস্থানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য। পুরান মতে দক্ষ কন্যা সতীর দেহের অঙ্গগুলি চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে প্রস্তরীভূত হয়ে। আমরা সতীর ৫১ পীঠের কথাই সকলে জানি। কিন্তু শাস্ত্র ভেদে বিভিন্ন সংখ্যারও ভেদ লক্ষ করা যায়। পীঠ নির্নয় তন্ত্র গ্রন্থে শক্তিপীঠের সংখ্যা ৫১।আবার কুব্জিকাতন্ত্র গ্রন্থে শক্তিপীঠের সংখ্যা ৪২। জ্ঞানার্নবতন্ত্রে আবার পীঠের সংখ্যা ৫০। ভারতীয় উপমহাদেশে শক্তিপীঠ গুলি ছড়িয়ে রয়েছে।দক্ষরাজের কন্যা নিজ পিতাগৃহে স্বামী নিন্দা শুনে দেহত্যাগ করেছিলেন। সতীর শোকে শিব রুদ্র মূর্তি ধারন করেন। শিব সতীর দেহ কাঁধে তুলে প্রলয় নৃত্য শরু করেন। তার নৃত্যে যখন বিশ্ব ধ্বংশ হতে শুরু করেছিলো, তখন শ্রীকৃষ্ণ তার সুদর্শন প্রয়োগ করেন সতীর দেহে। সতীদেহ খন্ডিত হয়ে ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে।পুরাণের বিবরন অনুযায়ী এই সতীপীঠ চেন্নাই এর কাছাকাছি কোন একটি স্থানে আছে। কিন্তু তার সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি। পুরান অনুযায়ী এই স্থানে মা সতীর দক্ষিণ স্কন্ধ পড়েছিল। এই পীঠে মা সতীকে কুমারী এবং শিবকে ভৈরব নামে বর্ননা দেওয়া হয়েছে।পুরাণের বর্ননায় আছে যে শ্রীলঙ্কায় সতীর দেহ পড়েনি। সেখানে দেবীর গহনা পড়েছিল। সেখানে দেবীর নাম ইন্দ্রাক্ষী এবং শিবের নাম রাক্ষসেশ্বর। আজও সেই সতীপীঠের সন্ধান মেলেনি।পুরান মতে এই সতীপীঠে মায়ের চোয়াল পতিত হয়েছিল। এখানে মা সতী বারাহী নামে পরিচিত। তবে পঞ্চসাগর যে কোথায় তা এখনও জানা যায়নি।
Total Post View : 111